জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আই.ই.আর)-এর অধীনে ১ বছর মেয়াদি বি এড (প্রফেশনাল) এবং এমএড (প্রফেশনাল) প্রোগ্রামে ২০২২-২৩ (Fall) শিক্ষাবর্ষে (জুলাই-ডিসেম্বর) ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে।
বি এড / এম এড ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২২-২০২৩
ভর্তির যোগ্যতা
বি এড (প্রফেশনাল): প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়/ কলেজ থেকে স্নাতক/ডিগ্রি পাস হতে হবে। তবে গ্রেডিং পদ্ধতিতে জিপিএ-২.৫০ এর কম প্রাপ্ত (মাধ্যমিক/সমমান) এবং পাস কোর্সের ক্ষেত্রে ৩য় শ্রেণি গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে চাকরিরত (সরকারি-বেসরকারি) প্রতিষ্ঠানের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
এম এড ভর্তির যোগ্যতা
এম এড (প্রফেশনাল): বি এড (প্রফেশনাল) প্রোগ্রামে উল্লেখিত যোগ্যতাসহ প্রার্থীকে অবশ্যই বিএড ডিগ্রিধারী হতে হবে।
আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার শেষ তারিখ:
আগামী ১২ মে,২০২৩ থেকে ১০ জুন ২০২৩ তারিখের মধ্যে পর্যন্ত www.jnu.ac.bd ওয়েবসাইট থেকে ভর্তির আবেদনপত্র ডাউনলোড করে পূরণকৃত আবেদনপত্রসহ সকল সনদ ও নম্বর পত্রের সত্যায়িত কপি স্ক্যান করে [email protected] ই-মেইলে পাঠাতে হবে।
আবেদন ফি
০১৭১১৯৮৯৬৬৭ নম্বরে আবেদন ফি ১০২০ টাকা বিকাশে পাঠিয়ে ট্রানজেকশন নম্বর ই-মেইলের সাবজেক্ট লাইনে উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আই. ই. আর)- এর অফিস থেকে সরকারি ছুটির দিনসহ অন্যান্য যেকোনো দিন সরাসরি আবেদন সংগ্রহ এবং পূরণকৃত আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে।
ভর্তি পরীক্ষার তারিখ:
- বি এড (প্রফেশনাল) প্রোগ্রাম : 16-06-2023, সকাল 11.30 টা – 12.30 টা পর্যন্ত।
- এম এড (প্রফেশনাল) প্রোগ্রাম: 16-06-2023, বিকাল 3.30 টা – 4.30 টা পর্যন্ত।
বিএড ফলাফল ঘোষণার তারিখ: 23-06-2023
- ক্লাস শুরু: 14-07-2023
- সাপ্তাহিক ক্লাস : শুক্রবার ও শনিবার।
যোগাযোগ
- আই.ই.আর অফিস কক্ষ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-1100।
- ফোন : 029534204, ০১৭১১-৯৮৯৬৬৭, 01633388529
- ওয়েবসাইটঃ https://jnu.ac.bd
বি এড কোর্স কী এবং কেন
ব্যক্তিগত উন্নয়ন, সামাজিক অগ্রগতি এবং জাতীয় অগ্রগতিতে উচ্চ শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ করে ব্যাচেলর অফ এডুকেশন (B.Ed.) ডিগ্রির মাধ্যমে অসংখ্য সুযোগ প্রদান করে। আমাদের দেশের পাবলিক এবং প্রাইভেট উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ই বিএড করার জন্য সুযোগ প্রদান করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একমাত্র পাবলিক প্রতিষ্ঠান যা বি এড ডিগ্রী প্রদান করে। উপরন্তু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষায় পিএইচডি এবং এমফিল ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ আছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিএড কোর্স
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে বিএড অনার্স ও মাস্টার্স পড়ার সুযোগ। শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (IER) 1959 সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়, যা 1960 সালে দুই বছরের এমএ কোর্সের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। এই কোর্সটি প্রাথমিকভাবে প্রথম বছরে “ডিপ ইন এডুকেশন” এবং দ্বিতীয় বর্ষে “মাস্টার ইন এডুকেশন” নামে পরিচিত ছিল। 1994-95 শিক্ষাবর্ষে, ডিপ ইন এডুকেশন প্রোগ্রামটিকে তিন বছরের ব্যাচেলর অফ এডুকেশন (সম্মান) প্রোগ্রামে উন্নীত করা হয়েছিল। ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে, 1998-99 শিক্ষাবর্ষে প্রোগ্রামটি চার বছর করা হয়েছিল। অনার্সে আসন মাত্র ১৬০টি। ৪টি বিষয়ে অনার্সের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হয়েছিলো।
অনার্স প্রোগ্রাম ছাড়াও, IER অন্যান্য প্রোগ্রাম যেমন শিক্ষায় এক বছরের মাস্টার্স, শিক্ষায় এক/দুই বছরের সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স, দুই বছরের পিএইচডি, এবং দশটি বিষয়ে বিশেষায়িত এমফিল প্রোগ্রাম অফার করে। সান্ধ্যকালীন মাস্টার ইন এডুকেশন প্রোগ্রামে ভর্তি হতে ইচ্ছুক সম্ভাব্য ছাত্রদের অবশ্যই বিএড থাকতে হবে। পিএইচডি বা এমফিল করার নিয়ম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের মতোই।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বিএড কোর্স
অন্যান্য বিষয়ের ন্যায় বিএড কোর্স বিভিন্ন প্রইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। এখানে বিএড অনার্স, মাস্টার্স ও এক বছরের বিএড কোর্স ও এক বছরের এমএড কোর্স করানো হয়। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বি এড অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স করানো হয় এগুলো হল- দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। এছাড়া যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএড ও এমএড ১ বছরের কোর্স করানো হয় তাহল- এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ব্রাক ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ওয়াল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, রয়েল ইউনিভার্সিটি ও লিডিং ইউনিভার্সিটি। দিন দিন ব্যাচেলর-অব-এডুকেশন বা বিএড-র চাহিদা বাড়ার কারণে ২০০৮ই ইউনিভাসিটি গ্রান্ড কমিশন (ইউিজসি) থেকে এ বিষয় খোলার অনুমতি নিয়েছে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটিতে ফ্যাকাল্টি অব এডুকেশন নামে আলাদা ফ্যাকাল্টি রয়েছে। কয়েকটিতে রয়েছে ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএড কোর্স
পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও বিএড অনার্স ও ১ বছরের কোর্স করানো হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ৪ বছর মেয়াদি অনার্স কোর্স করানো হয়। বাংলাদেশের সকল বি এড কলেজে এখনো ৪ বছরের অনার্স কোর্স চালু হয়নি তাই ভর্তি হবার আগে জেনে নিবেন।ন্যাশনালের বিএড কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা হয় তাই আগে পরীক্ষার জন্য ফরম পূরন করবেন তারপর পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে যেসব যোগ্যতা দরকার এখানেও তাই দরকার। মিনিমাম ২য় শ্রেণী বা তার সমমান জিপিএ থাকতে হবে ssc,hsc&honors/degree তে।এছাড়াও এখানে এক বছরের কোর্স করানো হয় অনার্স/ডিগ্রীর পর।বর্তমানে ন্যাশনালের বিএড এর উপর কোনো ভর্তি বিজ্ঞপ্তি নেই তবে হেল্প লাইনে কথা বলে জানলাম আগামী নভেম্বর -জানুয়ারি মাসের ভিতর ৪ বছরি মেয়াদ বিএড কোর্সের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি আসবে এবং ১বছর মেয়াদি বিএড কোর্সের এই বছরের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি শেষ।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন— www.nubd.info/bed অথবা www.nubd.info/med এই ওয়েবসাইটে।
বিএড কোর্স ফি
অনেকেই জানতে চান বিএড কোর্স করতে কত টাকা লাগে? আসুন জেনে নিই বিএড , এমএড করতে কত টাকা লাগতে পারে।
ন্যাশনালের অধীনে সরকারি কলেজ সমুহে প্রতি বছর ৪৫০০-৬০০০ টাকা লাগে এবং বেসরকারি কলেজ গুলোতে ৫০০০-১০০০০ টাকার মত লাগে।আসন সংখ্যা একেক কলেজে একেক রকম তবে (৫০-৫০০) এর ভিতরেই থাকে।
চাকুরির ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা
বর্তমানে ব্যাচেলর-অব-এডুকেশন বা বি এড ও মাস্টার্স অব এডুকেশন সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের চাকুরির ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা রয়েছে। এসব শিক্ষার্থীরা বিসিএস, বিসিএস (শিক্ষা), শিক্ষা মন্ত্রনালয়, শিক্ষা বোর্ড, জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, নায়েম, শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ সহ অন্যান্য সরকারী চাকুরি। বর্তমানে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করার অন্যতম যোগ্যতা চাওয়া হয় বিএড ও এমএড কোর্স সম্পন্ন শিক্ষক। সে ক্ষেত্রে এ কোর্স সহায়কের ভূমিকা পালন করে।
এছাড়া বেসরকারী প্রতিষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও তাদের শিক্ষামূলক প্রকল্প পরিচালনার ক্ষেত্রে বি এড ও এম এড কোর্স সম্পন্ন দক্ষ জনশক্তি চায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-Save the Children, US- Aid, AUS-Aid, UNESCO,UNECEF, CAMPE, ব্রাক, প্রশিকা, আহসানিয়া মিশন ইত্যাদি। বর্তমানে প্রায় সবকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা বিষায়ক প্রধান হিসেবে কাজ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা। যারা বিএড ও এমএড কোর্স সম্পন্ন। মূলকথা বিএড ও এমএড কোর্স করা শিক্ষার্থীরা দক্ষতার সাথে কাজ করার কারণে দিন দিন শিক্ষা ক্ষেত্রে এসব শিক্ষার্থীদের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সুবিধা
শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বে উচ্চ শিক্ষার সুবিধা অনেক বেশি। প্রত্যেক বছর শিক্ষার্থীদের বিরাট একটা অংশ বৃত্তি নিয়ে উন্নত দেশে পড়াশুনা করতে যায়। এ ক্ষেত্রে অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, জাপান, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন ও ভারতের নাম উল্লেখ যোগ্য। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিক্ষা বিজ্ঞান বিয়ায়ক বিভাগ, অনুষদ, ইনস্টিটিউট এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সেখানে বৃত্তি নিয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। মূলত বৃত্তির বিষয়টা শিক্ষার্থীর চেষ্টার উপর নির্ভর করে।
স্কলারশিপ প্রদানকারী উন্নত দেশের উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটি নরওয়েতে নরওয়েজিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ লাইফ সায়েন্সেস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ ভিক্টোরিয়া, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি সহ বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
সরকারি বি এড টিচার্স ট্রেনিং কলেজ তালিকা
১.যশোর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ.ফোন—0421-66461
২.কুমিল্লা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ।ফোন –081-76063
৩.বরিশাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ.ফোন–
৪.চট্রগ্রাম টিচার্স ট্রেনিং কলেজ
৫.রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ,ফোন–0721772188
৬.রংপুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ।ফোন–0521-62041
৭.ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ,
৮.ময়মনসিংহ মহিলা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (একমাত্র মহিলা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ)
৯.খুলনা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ,
১০.পাবনা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ.ফোন–0731-65329
১১.ফরিদপুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ,ফোন–0631-66303
১২.ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ,.ফোন–02-9672110
১৩.সিলেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজ,মোবাইল –01712439967
১৪.ফেনী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ