চলে গেলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন ও সাবেক এমপি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী রাহিমাহুল্লাহ।
বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম নেতা, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমীর ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী স্কলার এবং বহু গ্রন্থ প্রণেতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী রাহিমাহুল্লাহ মহান রাব্বি কারিমের ডাকে সাড়া দিয়ে দুনিয়ার সফর শেষ করে আজ রাত সাড়ে ৮.৪০টার দিকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ইন্তিকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন…।
বিশ্বের দরবারে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন এই মহান দাঈ। শত অত্যাচার ও নির্যাতনেও তিনি আদর্শ থেকে ও আন্দোলন থেকে সরে আসেননি। তাঁর মৃত্যু পৃথিবীর ইসলামী আন্দোলনের জন্য বেদনাদায়ক।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা তাঁর এই গোলামকে ক্ষমা করুন, তাঁর ওপর রহম করুন এবং তাঁকে সম্মানিত করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উঁচু মাকাম দান করে অপরিসীম নিয়ামতে সিক্ত করুন।
তাঁর পরিবার-পরিজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সর্বপর্যায়ের সহকর্মীদেরকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সবরে জামিল দান করুন। আমীন।
এর আগে কথিত একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন তিনি।
কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ বন্দি ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় রোববার বিকাল ৫টার দিকে তিনি বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে কারাগারের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন সাঈদী।
পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।